বাংলা সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ দিন পহেলা বৈশাখ, শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে থাকে। বাংলা নববর্ষের উৎসব মূলত বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর আত্মপরিচয়ের অন্যতম প্রতীক। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন দেশে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়—
বাংলাদেশ;
বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপিত হয়। এটি একটি সরকারি ছুটির দিন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে নানা আয়োজনে উদযাপন হয় এই দিনটি। ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা, গ্রামীণ মেলা, খাবার হিসেবে পান্তা-ইলিশ—সব মিলে বাঙালিয়ানা ফুটে ওঠে এই নববর্ষে।
ভারত (পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম):
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের কিছু অংশে পহেলা বৈশাখ পালিত হয় ‘নববর্ষ’ হিসেবে। কলকাতায় ব্যবসায়ীরা এই দিনটিতে ‘হালখাতা’ উদযাপন করেন। নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন হয়, আর বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে নতুন বছরের শুভ সূচনা হয়।
মালয়েশিয়া:
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরা প্রতিবারই পহেলা বৈশাখ পালন করে থাকেন। কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন শহরে কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পান্তা-ইলিশের আয়োজন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো (সৌদি আরব, ইউএই, কাতার):
এই দেশগুলোতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্থানীয়ভাবে পহেলা বৈশাখ পালন করেন। মূলত বাংলাদেশি সামাজিক সংগঠনগুলো এই উৎসবের আয়োজন করে থাকে। প্রবাসে থেকেও বাঙালিরা যেন হারিয়ে না ফেলেন নিজেদের শিকড়।
অন্যান্য দেশ:
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া—যেসব দেশে বাংলাদেশি কমিউনিটি রয়েছে, তারাও পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে থাকেন। বাংলাদেশি হাইকমিশন কিংবা কমিউনিটি সংগঠনগুলোর আয়োজনে তারা বছরের এই বিশেষ দিনটিকে বর্ণিল করে তোলেন।
পহেলা বৈশাখ শুধু একটি ক্যালেন্ডারের তারিখ নয়, এটি একটি সংস্কৃতি, একটি আবেগ, একটি ঐতিহ্য। বিশ্বের যেখানেই থাকুন না কেন, বাংলা নববর্ষ মানেই যেন নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। শুভ নববর্ষ ১৪৩২!
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন